ফেসবুকে ঘুমের ঔষধ হাতে নিয়ে আত্মহত্যার পোস্ট দেয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা থেকে রক্ষা করে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের মিস্ত্রি পাড়া এলাকায় জাকিয়া ফেরদৌসী (২৮) নামের এক নারী গভীর রাতে হতাশায় নিজেকে শেষ করবেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দেন।মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পৌরশহরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি উক্ত নারীর সাথে ফেসবুক গ্রুপে সংযুক্ত এক ব্যক্তির নজরে আসলে ৯৯৯ লাইনে কল করে জানান।
ওই নারী তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার পরিবার আমার পুরো জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছেন। তারাই দায়ী আমার মৃত্যুর জন্য ”
পুলিশ জানায়, জাকিয়া ফেরদৌসী (২৮) শহরের মিস্ত্রি পাড়া এলাকায় বাবা জুলফিকার আলীর বাড়িতে বসবাস করেন। ইতিমধ্যে তার দু-টি বিয়ে হলেও ডিভোর্স হয়ে যায় তার। পরে বাবার বাড়িতেই থাকেন তিনি। হতাশায় পরে তিনি আত্মাহত্যার চেষ্টা চালান।
পরে কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান স্থানীয় লোকজনদের অবহিত করেন এবং ওই নারীকে দ্রুত সনাক্ত করে স্থানীয় লোকজনসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে জাকিয়া ফেরদৌসীকে কাউন্সেলিং করা হয়। জাকিয়া ফেরদৌসী বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে তার পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করেন পুলিশ।
জাকিয়া ফেরদৌসী জানান, মানসিক হতাশা থেকেই তিনি উল্লেখিত পোস্টটি করেছেন। পরবর্তীতে এরকম ভুল হবে না বলেও তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মোহাম্মদ শাহারিয়ার জানান, ওই নারী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্টাটাস দিয়ে লিখেন, ঘুমের ঔষধ খেয়ে তিনি নিজেকে শেষ করবেন। বিষয়টি এক ব্যক্তির নজরে আসলে তিনি ৯৯৯ লাইনে কল করে জানান। পরে খবর পেয়ে আমরা তাকে সনাক্ত করে সুস্থভাবে উদ্ধার করি। এবং তাকে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে সু-পরামর্শ দেওয়া হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।